শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৩০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে ব্রাশফায়ার করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরো দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আজ রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে ভোররাতে। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ও মানিক নামে দুজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। গুরুতর আহত হৃদয় ও রবিন নামে আরও দুজন চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরআগে শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখে এ ঘটনা ঘটে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের গুলজার বেগম মোড়ে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ভারী অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মধ্যরাত থেকেই কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছিলো সন্ত্রাসীদের দুটি গ্রুপ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার নেতৃত্বে একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন নিহত মানিক, আবদুল্লাহ, ইমন এবং রবিনসহ ৬ জন।
নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বালুর মহালকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার সাথে সন্ত্রাসী খোরশেদ, রায়হান এবং হাসান গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। শনিবার রাতে বাবলা গ্রুপ ৬ জন নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে ছিল। চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে খোরশেদ গ্রুপ তাদের রাজাখালী ব্রিজ থেকে ধাওয়া করে। তাদের মধ্যে পারস্পরিক গোলাগুলি হয়েছে। তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল।’