বাসস
  ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৪

রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

রংপুর, ৩১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যাপক উতসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সেখানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত ঈদুল ফিতর নামাজের জামাতে ইমামতি করেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব হাফেয মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।

রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহে প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলাম, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

নামাজ ও খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অশ্রুসিক্ত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ওপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মহান আল্লাহর কাছে অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।

জেলার প্রধান এই ঈদ জামাতে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্টজন এবং সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শুরুর আগে উপস্থিত মুসল্লিসহ রংপুরবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

এছাড়াও সকাল ৮টায় রংপুর পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে, ৯টায় শাপলা চত্বর আশরাফিয়া জামে মসজিদে, মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হযরত মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজার-সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মন্ডলপাড়া বড় ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৯টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৯টায়, সকাল ১০টায় বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহসহ বিভিন্ন ঈদগাহ, মসজিদ ও মাদরাসা মাঠে সুবিধাজনক সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় ঈদ উল ফিতরের নামাজের জামাত দামোদরপুর বড় ময়দান মাঠে এবং গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

এই দুই ঈদগাহে প্রতিবছরের মতো এবারও প্রায় ৪০ হাজার করে মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ ছাড়া রংপুর মহানগরীর মহল্লাভিত্তিক মসজিদ, মাদরাসা ও বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবছর রংপুর মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টিসহ জেলার প্রায় ১২ শতাধিক ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদরাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মসজিদে ছিল একাধিক ঈদ জামাতের ব্যবস্থা।

ঈদ উপলক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে নগরীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করতে জেলার হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।