বাসস
  ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৫৪

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় বেলাল-মানিকের ৪ দিনের রিমান্ড, গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ

চট্টগ্রাম, ৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানায় দায়ের হওয়া জোড়া খুনের মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি মো. বেলাল ও মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে কারাগারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় সাজ্জাদের ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পৃথক আদালত।

আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এবং ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে পৃথকভাবে এসব আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন জানিয়েছেন, বাকলিয়া থানায় জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার দুই আসামিকে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও জানান, সাজ্জাদকে আজ চান্দগাঁও থানার তাহসীন হত্যা মামলায় ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানার বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারকে (চট্টমেট্রো গ-১২-৯০৬৮) লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ার চালায়। এতে গাড়িতে থাকা বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ রিফাত ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন আরও চারজন, যাদের অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে গত ৩ এপ্রিল ভোরে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে বেলালকে এবং ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে মানিককে গ্রেফতার করা হয়। বেলাল ‘সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন’ এবং মানিক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সরবরাহ করেছিলেন বলে পুলিশ জানায়।