শিরোনাম
জীতেন বড়ুয়া
খাগড়াছড়ি, ৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে চলছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নতুন বছর বরণের উৎসব- বৈসাবি। উৎসবের আমেজে বর্ণিল শোভাযাত্রা,ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে তারা। বুধবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান।
এতে অংশ নিচ্ছে চাকমা ,মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। এ ধরনের উৎসব পাহাড়ের বসবাসরত মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরো সৃদৃঢ় করবে মনে আয়োজকরা।
এবার খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে চাকমা ,মারমা ও ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ করা হচ্ছে । বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বিজু সাংগ্রাই ও বৈসু উদযাপনে আয়োজন করা বর্ণাঢ্য এর র্যালির। এতে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে পরে অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এ সময় র্যালীতে অংশ গ্রহণ করেছেন, ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার কর্ণেল আতিকুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার,ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃঞ্চ চন্দ্র চাকমা, এনএসআই-এর যুগ্ম পরিচালক নাছির মাহমুদ গাজী,পরিষদের সদস্য বৃন্দ,বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,সামাজিক সংগঠনের নেতারা। সকলে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে টাউন এসে শেষ। বর্ণিল পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ। র্যালিতে অংশ নিয়ে উছ¡াসিত তরুণ -তরুণীরা শোভাযাত্রা শেষে টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে এতিহ্যবাহী ডিসপ্লে।
এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জন সংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্রা মং চৌধুরী জানান ,বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সাংস্কতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করা হয়।
বৈসাবি শোভাযাত্রার মাধ্যমে পাহাড়ের বসবাসরত মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে মনে করছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, চেয়ারম্যান-জিরুনা ত্রিপুরা ।তিনি জানান এর মাধ্যমে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ।
উৎসবের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় এ সামাজিক উৎসব মানুষের মাঝে ঐক্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করবে। পাহাড়ী বাঙ্গালী সবাই মিলে মিশে অনুষ্ঠানটা উপভোগ করলো,আসলে আমরা এ রকম একটা খাগড়াছড়ি চাই। উল্লেখ্য আগামী ১২ এপ্রিল ভোরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উ ৎসব।