বাসস
  ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫০
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৩

সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটের ঘটনায় ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি : সংগৃহীত

সিলেট, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে উশৃঙ্খল যুবকদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বাটার অঞ্চল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুটি মামলা হয়েছে। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য,গাজায় ইসরাইলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার সিলেট নগরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এই সময় কিছু উশৃঙ্খল যুবক নগরের মিরবক্সটুলাস্থ রয়েল মার্ক হোটেল ও একই ভবনে অবস্থিত বিদেশি রেস্টুরেন্ট কেএফসিতে ভাংচুর চালায়। পরে, নগরের জিন্দাবাজার, আম্বরখানা ও বন্দরবাজারে বাটা, ইউনিমার্ট, ডমিনোজ পিজ্জাসহ প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিলে যুবকরা পালিয়ে যায়। এতে সিলেট নগরবাসী, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন তারা। পুলিশের আইজি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সিটি ক্যামেরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের চিহ্নিত করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ জনকে এবং পরদিন আরো সাত জনকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় পরদিন নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মীরবক্সটুলা এলাকার রয়েলমার্ক হোটেলের ম্যানেজার (অপারেশন) আব্দুল মতিন। অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। রয়েলমার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ছিল কেএফসি। মামলার এজহারে তিনি কেএফসিতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি হোটেলের ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।