বাসস
  ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩২

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান : ২০৩৩ সালের মধ্যে বাজার দাঁড়াবে ২৩ বিলিয়ন ডলার 

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট -২০২৫ এর এক সেশনে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ খাতটি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।

তাদের মতে, চিকিৎসা সামগ্রী ও উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাতের বাজারের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট- ২০২৫’ এর ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা বিনিয়োগের সম্ভাবনা উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক এক অধিবেশনে এই পূর্বাভাস দেন বিশেষজ্ঞরা।

সেশনটির বক্তা ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিলভানা কাদের সিনহা ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা বিনিয়োগের সম্ভাবনা উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক মূল বক্তৃতা প্রদান করেন।

সাইদুর রহমান তার বক্তৃতায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে ২০৩৩ সালের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজারের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। এতে স্পষ্ট যে, দেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’

সিলভানা কাদের সিনহা বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ডিভাইসের বাজার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যার প্রধান চালিকা শক্তি হল চিকিৎসা সামগ্রী ও উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বৃহত্তম খাত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে, যেখানে ২০১০ সাল থেকে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধির হার (সিএজিআর) দেখা গেছে এবং সরাসরি প্রায় ৩ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানে যুক্ত রয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রবৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে বয়স্ক জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণি এবং অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান অনুপাত। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে ৫টি প্রধান উপখাত রয়েছে: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ডিভাইস, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং মেডিকেল বায়োটেকনোলজি।’

সিলভানা আরও বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং সরকারি প্রণোদনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে। বড় শহরের বাইরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কর ছাড়ের মতো নীতিমালার ফলে এটি স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হচ্ছে। নগরাঞ্চলে তৃতীয় ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ও গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ খাতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হচ্ছে। যা এটিকে বিনিয়োগের একটি প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।’