বাসস
  ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০০:৩৪

উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

ঢাকা, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক: পর্যটন খাতের সম্ভাবনা ও সুযোগ’ বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়, যেখানে উজবেকিস্তানের প্রতিষ্ঠিত ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনের নানা দিকসমূহের উপর আলোকপাত করেন এবং তা দু’দেশের পর্যটন সহযোগিতাকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

পর্যটন শুধু দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব এবং সৌহার্দ্যকে শক্তিশালী করে না বরং তা পর্যায়ক্রমে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি সম্পর্ক সম্প্রসারণে কার্যকরী অবদান রাখে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

এসময় তিনি উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যতাকে আরো গভীরভাবে জানার ও উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন, ধর্মীয় স্থাপনাসহ দর্শনীয় পর্যটন স্থানসমূহের উপর বক্তব্য প্রদান করেন ভ্রমণ ম্যাগাজিনের এডিটর এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আবু সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান ইকোনমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নারগিজ যিনি ইমাম বুখারী (রহ:), বাহাউদ্দিন নাকসবন্দি(রহ:)।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে  অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উজবেকিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠানের  নতুন মাত্রা যোগ করে। 
এ পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বর্ণনা করার পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধিতে এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। বাংলা নববর্ষের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 

আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য  ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা  হয়।