শিরোনাম
নাটোর, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নাটোরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল দশটায় স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খন্দকার আবেদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের সংগঠক নাসির তারেক।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সুভাশিষ মহন্ত বলেন, তামাকজাত পণ্যে নিকোটিন, আর্সেনিক, ডিডিটি, আলকাতরা, ফরমালিন, বিটুমিনসহ চার হাজারের অধিক ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে। এর মধ্যে ৪৩টি ক্যান্সার তৈরিতে সহায়ক। বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে মারা যাচ্ছেন। বিশ্বে মোট তামাকের ১.৩ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপন্ন হয় এবং তামাক চাষে ব্যবহৃত জমির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। তামাকের চাষাবাদে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে তামাক চাষ পরিহার এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার কমিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়ন এবং সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।