বাসস
  ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৫৩

চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য তিস্তার চর এলাকা পরিদর্শন

চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ছবি: বাসস

রংপুর, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চীনা অর্থায়নে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করার লক্ষ্যে এলাকাটি পরিদর্শন করেন তারা।

হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলেন-বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. শহীদুর রহমান খন্দকার ও সাবেক সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিস্ট ফরহাদ আহমেদ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল ও গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধার সঙ্গে এই দুই কর্মকর্তা মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর মৌজার চর কলাগাছি এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় পরিদর্শনকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী ও এলাকার সাধারণ মানুষ।

চর কলাগাছি এলাকায় ১০০ একর খাস জমির মধ্যে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২০ একর জমি পরিদর্শন করেছেন কর্মকর্তাগণ ।

প্রাথমিক পরিদর্শনের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আন্তর্জাতিক মানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম ও উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করবে।

বাসস-এর সাথে আলাপকালে গঙ্গাচড়ার ইউএনও মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত চীনা অর্থায়নে নির্মিতব্য মৈত্রী হাসপাতালটির জন্য তিস্তা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে।

ইউএনও বলেন,‘ গঙ্গাচড়ায় একটি আধুনিক হাসপাতাল  তৈরি হলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষসহ উত্তরবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে।’ 

বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটি’র আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন,ভারতের মেডিকেল ভিসা বন্ধ করে দেয়ার দিন থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে।।

তিনি বলেন, ‘সেই সম্ভাবনাকে সফলতায় পরিণত করতেই চীনা কর্তৃপক্ষ রংপুর বিভাগে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি বিশ্বমানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিভাগীয় সদর দপ্তরের কথা বিবেচনা করে, রংপুর জেলায় এই হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি এখন জনসাধারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে চীন রংপুর বিভাগে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করবে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটি বাংলাদেশের জনগণকে এই হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে।

এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, প্রস্তাবিত তিস্তা মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এলাকার কাছেই হাসপাতালটি নির্মিত হবে।

হাসপাতাল নির্মাণের এ খবর রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।