শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মাত্র মাসখানেক আগে নিবন্ধিত একটি কোম্পানির মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি-র সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ. রহমান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত-২) সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের অনুমোদনক্রমে এ মামলা দায়ের করেন। দুদকের নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তির অস্বাভাবিক মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি কৃত্রিম কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড (এসটিএল) নামীয় বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।
ব্রিফিংয়ে জানায়, প্রকৃত ৮৭ কোটি টাকা মূল্যের জমিকে ১০২০ কোটি টাকা দেখিয়ে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে উক্ত অর্থ এসটিএল-এর চলতি হিসাব নং ০২১০২৬৪৩৩৭০০১-এ জমা করে, তার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা এফডিআর করা হয় এবং বাকি ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়াও ব্যাংকিং নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে এই অর্থ নগদে উত্তোলন এবং স্থানান্তর ও লেয়ারিং-এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তদের এই কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১৮-এর ৪ ধারা লঙ্ঘন করেছে।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন : আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শাহ আলম সারোয়ার, বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তা, শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেডের পরিচালক, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইওসহ মোট ৩০ জন।
দুদক জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।