শিরোনাম
রাঙ্গামাটি, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়কে একসঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এখানে কোনো প্রকার বৈষম্য চাইনা।’
আজ পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা-মাসসের উদ্যোগে রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক কমিউনিটির আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। এজন্য সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট এবং ভারসাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা।
নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার প্রতিপাদ্যে রাঙ্গামাটি মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা- মাসসের সভাপতি থোয়াই সুই খই মারমার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক উশানু মারমা নয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মুহাম্মদ জুনাঈদ উদ্দীন শাহ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু।
জলকেলি উৎসবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান অ্যাম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ অংশ নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে ও পানি ছিটিয়ে দিয়ে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন। এর পর ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন।
জলকেলির পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে রাঙ্গামাটিসহ ৭টি উপজেলা থেকে জলকেলি উৎসবে যোগ দেয় মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ।
এছাড়া জলকেলি উপলক্ষে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম জুড়ে বসানো হয় লোকজ গ্রামীণ মেলা।