বাসস
  ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৫

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে ধর্ম উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

ছবি : বাসস

কক্সবাজার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি জোরালো হচ্ছে। কক্সবাজারে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি এ দাবি বাস্তবায়নে এবার মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী।

কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে জামায়াতের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কক্সবাজার বিমানবন্দরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাদেক আহমদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন শাহীন।

স্মারকলিপি প্রদানের পর ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন বলেন, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের জন্য সেতু বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাইকা এই সড়ক নির্মাণে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিষয়টি আমি প্রধান উপদেষ্টা ও ক্যাবিনেটে উত্থাপন করবো।

উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এই সড়কে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়। তাই এই সড়কের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে কক্সবাজারে মানববন্ধনও করেছে জামায়াত।

কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, দেশের অন্যতম এবং বৃহৎ পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির চাবিকাঠি চট্টগ্রাম বন্দর। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে চালিকাশক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিশেষ অবদান রেখে আসছে। এ দুই এলাকায় অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করা প্রয়োজন। আমরা এটি উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আমাদের এই দাবি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মেনে নেবে। আমরা এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

একই দাবিতে এর আগে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে একাধিক সামাজিক সংগঠন।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সামাজিক সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘একটি সমৃদ্ধ কক্সবাজার’। এ সংগঠনের চেয়ারম্যান সাইফুর রহিম শাহিন বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হোক। এখনই চার লাইনের কাজ শুরু করা হোক। এখন কালুরঘাট সেতু হচ্ছে। এটা হলে এই সড়কের ওপর আরও বেশি চাপ বাড়বে।’

জানা যায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয় প্রায় এক যুগ আগে। দেড় শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথ চার লেন করা, গুরুত্বপূর্ণ অংশে একটি উড়ালসড়ক ও চারটি বাইপাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু নানা কারণে এ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হয়নি।