শিরোনাম
নীলফামারী, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : 'নতুন স্বপ্ন নতুন দিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর এর আয়োজনে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় নীলফামারীতে দুদকের ১৭২তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক হতে হবে। সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার বান্ধব নয়, বাংলাদেশ বান্ধব হতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েকটা গণশুনানিতে গিয়ে আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আসলে কোন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না। আমরা চাইলে সে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদকের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. তালেবুর রহমান। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহসিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো । সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পরেই শুরু হয় অভিযোগকারীদের সরাসরি গণশুনানির কার্যক্রম।
নীলফামারীর আজকের এই গণশুনানিতে ৩১টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ৮১ টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় । এর মধ্যে দুদক তফসিলভুক্ত ৫টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয় এবং ৫৭টি অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয়। গণশুনানীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দেয় এবং দুদকের অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেয়া হয়।
শুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা গ্রহীতারা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত হয়রানির শিকার হন তারা সেগুলো গণশুনানিতে সেবা দাতাদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। গণশুনানিতে উত্থাপিত সমস্ত অভিযোগের অনেকগুলোকেই আমলে নিয়ে সেবাদাতাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়।