শিরোনাম
খুলনা, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ পানি জেলা মডেল পাইলট প্রজেক্ট’ এর আওতায় জেলা ওয়াকিং গ্রুপ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক সভা আজ রোববার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় সকল স্কুল-মাদরাসা ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে খুলনা জেলার সকল ইউনিয়নে সেবা গ্রহণকারীদের সুস্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নত হবে। পানি দূষণ প্রতিরোধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের জীবন সেইফ (রক্ষা) এর সঙ্গে পানিকেও নিরাপদ রাখা দরকার।
তিনি বলেন, নিরাপদ পানি সংগ্রহে উপকূলবাসীকে সব সময় সংগ্রাম করতে হয়। বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ে পানির ব্যাপক সংকটের মধ্য দিয়ে কাটে। খুলনা প্রকৃতপক্ষে পানির প্রাপ্যতার দিক থেকে নানামুখী সংকটের একটি জেলা। প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব সুয়ে মেন জো, হাইসাওয়া এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নুরুল ওসমান ও খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মোছা. মাহফুজা খাতুন বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বিতান কুমার মন্ডল।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা জেলার (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, পানির উৎসসমূহের প্রয়োজনীয় সংস্কার, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় মোট এক হাজার ১৭৪ টি প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০৩০ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারিভাবে ব্যয় হবে ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও স্কুল-মাদরাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।