বাসস
  ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:১৭

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ। ছবি: বাসস

কুষ্টিয়া, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জেলার কুমারখালীতে পদ্মা ও গড়াই নদীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধ।  

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে বালি ও মাটি তোলা হচ্ছে। 

স্থানীয় প্রভাবশালী বালু খেকো সিন্ডিকেট এস্কেভেটর মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করেন। 

এদিকে একই জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে গত ১৯ এপ্রিল কুমারখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে দুটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। 

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসিমপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে শত শত ট্রাক, ট্রলি, ট্রাক্টরে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

স্থানীয়রা বলেন, কুমারখালী উপজেলার হাসিমপুর এলাকার আয়ুব মাস্টারের ছেলে টুটুল, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকার আলতাফের ছেলে লিটন, দয়ারামপুর এলাকার আদালত খাঁর ছেলে কামরুল খাঁ, দয়রামপুরের হাবিবুর রহমান হবি মেম্বারসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বেশ কিছুদিন ধরে। 

কয়েক দিন আগে প্রশাসন দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। এর দুইদিন পর আবারও বালু খেকো সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন শুরু করে। দিনের পর দিন ও রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন করে। কুমারখালীর পদ্মা গড়াই নদীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। হাসিমপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,  হাসিমপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করলে নদীর গতি পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে। বেড়িবাঁধ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। বালু খেকোদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। 

এবিষয়ে কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, গত ১৯ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুনছি তারা আবারও অবৈধভাবে বালি কাটছে। কেউ যদি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করেন তাহলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম  বাসস’কে বলেন, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর বাঁধের পাশ থেকে রাতের অন্ধকারে বালি তোলার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুতই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।