শিরোনাম
মেহেরপুর, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : চলতি মৌসুমে জেলায় ৪শ’ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও লিচু চাষিরা এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর জেলায় তিনশ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান আছে। এসব বাগানে স্থানীয় ‘মোজাফফর’ জাতসহ চায়না-৩, বোম্বাই, আঁটি ইত্যাদি জাতের লিচু চাষ করা হয়। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে ৪শ’ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে।
ভৌগোলিক ও আবহাওয়াজনিত কারণে মেহেরপুরের লিচু অন্য জেলার আগেই বাজারজাত করা যায়। দাম ভালো পাওয়ার কারণে এই জেলায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে লিচু চাষ।
জেলা শহরের নতুন পাড়ার লিচু চাষি হেকমত আলী জানান, তার পাঁচ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান। লিচু গাছে ফুল আসার আগেই গত জানুয়ারি মাসে পাঁচ লাখ টাকায় লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বাগান।
লিচু বাগান ক্রেতা মাবুদ আলী জানান, তিনি তিনটি লিচু বাগান কিনেছেন প্রায় পাঁচ লাখ টাকায়। প্রাকৃতিক
দুর্যোগ না হলে অন্তত আট লাখ টাকার কেনাবেচা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই একটি মাত্র ফল এক মাস যত্ন করতে হয়। লিচুর বড় শত্রু বাদুড় আর চামচিকা। লিচুতে রং ধরলেই এক রাতেই চামচিকাতে লিচু কেটে নষ্ট করে দেয়।
এজন্য রাত জেগে বাদুড় চামচিকা প্রতিরোধ করতে হয়। অতিরিক্ত তাপদাহেও লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে যায়।’
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘মেহেরপুরে ৮০ ভাগ বাগানে আঁটি লিচু চাষ হয়। এই লিচুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে; আঁটি মোজাফফর জাতের লিচু আগাম পাকে। সংখ্যায় বেশি ধরে। পোকার আক্রমণ কম হয়। ফলের ৭০ ভাগই রসালো। জেলায় তিনশ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এসব বাগানে ৪শ’ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’