বাসস
  ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৭

হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কর মেলা আয়োজন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে অংশ নেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি: ডিএনসিসি

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের জন্য আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে  কর মেলা আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, ‘এই কর মেলায় ওয়ান স্টপ সেল থাকবে। সেখানে এক দিনেই তাৎক্ষণিক হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে। ভোগান্তি ছাড়া স্বল্প সময়ে মেলাতে আপনারা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ডিএনসিসির অঞ্চল-৭ এর সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে ডিএনসিসি প্রশাসক একথা জানান। 

নতুন এলাকার এক বাসিন্দা হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসককে প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রশাসক বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সেই আইন ভঙ্গ করে কয়েক বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের এখতিয়ার আমাদের নেই। এটা করলে আইন ভঙ্গ হবে এবং এর জন্য ভবিষ্যতে আমরা বিপদে পড়বো। পরবর্তীতে যিনি দায়িত্বে আসবেন তখন আবার পূর্বের সব বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে বাধ্য হবেন। এতে আপনারাই ঝামেলায় পড়বেন। তাই আপনারা নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর হোল্ডিং ট্যাক্স দেবেন। তবে আমাদের কাছে রিবেটের (কর ছাড়) সুযোগ রয়েছে। রিবেটের জন্য আবেদন করবেন, আমরা এখতিয়ার অনুযায়ী সর্বোচ্চটা পাশ করে দেব। এতে আপনাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এতে আইন অনুযায়ী একটি সুন্দর সমাধান হবে।’

ফুটপাতের অবৈধ হকারদের কাছ থেকে কেনাকাটা না করার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রতিটি এলাকায় বাজার আছে, মার্কেট আছে। আপনার দয়া করে ফুটপাতের ও রাস্তার অবৈধ হকারদের কাছ থেকে কেনাকাটা না করে বাজার ও মার্কেট থেকে কেনাকাটা করুন। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। জনগণের সহযোগিতা পেলে এই সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।’

ডিএনসিসি আয়োজিত প্রতিটি অঞ্চলে গণশুনানিতে অংশ নিচ্ছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ইতোমধ্যে ৭টি অঞ্চলে গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে নাগরিকরা সরাসরি ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে তাদের অভিযোগ, পরামর্শ ও সেবা সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলেন এবং প্রশ্ন করেন। ডিএনসিসি প্রশাসক সকলের প্রশ্ন শুনেন ও জবাব দেন। এছাড়াও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে একটি ফরম দেওয়া হয়, সবাই যার যার মতামত ও অভিযোগ লিখে জমা দেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে  নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। 

গণশুনানিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খয়বর রহমান এবং অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।