বাসস
  ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৬

বরগুনায় ধীর গতির সড়কের কাজে মানুষের ভোগান্তি

বরগুনায় ধীর গতির সড়কের কাজে মানুষের ভোগান্তি। ছবি: বাসস

বরগুনা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জেলার তালতলী উপজেলার বগীর হাট থেকে তালতলীর বাঁধঘাট পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজটি দীর্ঘ ১০ মাস ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সড়কটি উপজেলার বৃহত্তম ও জেলার সাথে বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার। 

বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় যানবাহন নিয়ে যাতায়াতে ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রকল্পের সময় পার হলেও ২৫ শতাংশ কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে,  গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উপজেলার ছোটবগী থেকে তালতলী বাঁধঘাট পর্যন্ত ৯.৭০০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কার প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই কাজে ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ১০৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায় এবং বাস্তবায়ন শুরু করে। কাজটি গত বছরের ২৫ মার্চ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত বছর জুন মাসে ওয়ার্কঅর্ডার পেয়ে ওই সড়কের নভেম্বর মাসে কিছু অংশের সড়কে মেগাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। পরে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। 

জানা গেছে, সড়কের কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত  ৫০ জনের বেশি লোক এই সড়কে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি দুই শিশু দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বশিল উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রকৌশলীদের কোনো অবহেলা নেই। আমাদের বিভিন্ন সময়ে চিঠি দিয়ে যাচ্ছে কাজ করার জন্য। শুরুর দিকে স্থানীয়ভাবে কিছু মেগাডাম দেওয়া হয়েছিলো। সেগুলো একটু খারাপ ছিল। পরে পটুয়াখালী থেকে ভাল মেগাডাম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকার পতনের জন্যও আমাদের কাজের কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, এখানে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণেই এই কাজের ধীরগতি হয়েছে। এই কাজের জন্য বেশ কয়েকবার ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি। তিরি আরও জানান ঐ ঠিকাদার কাজের শুরুর দিকে কিছু নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করেছেন। তবে আমরা চিঠি দিলে এখন ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেন। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের অন্য সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ রইলো। 

তালতলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা জানিয়েছেন,আমার নিজের কাছেও ঐ সড়কের একাধিক অভিযোগ এসেছে। ওখানে দুইজন শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে চিকিৎসা নিচ্ছে বরিশালে। তিনি আরও বলেন এই সড়ক দিয়ে আমিও জেলায় মিটিং এ যাই। খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমি এ বিষয়ে জেলা মিটিং এ বার বার বলেছি। ওই দপ্তরের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে কাজ দ্রুত করার জন্য নয়তো তার লাইসেন্স বাতিলের জন্য বলা হবে।