শুক্রবার বিকেএসপির অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশে বিপ্লব ঘটাতে হবে। কারণ খেলাধুলা মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য এসময় বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য এবং তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার জন্য সিলেবাস সংস্কারের মাধ্যমে সফট স্কিল, হার্ডস্কিল ও কারিগরি শিক্ষা আবশ্যক হিসেবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র, ৮টি লার্নিং সেন্টার, ১টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৮টি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কালচারাল সেন্টার ও স্পোর্টস সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট চালু করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং স্পোর্টস বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিকেএসপি এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম এবং বিকেএসপি এর পরিচালক কর্নেল মো. গোলাম মাবুদ হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরের পরিচালক ও সচিব এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিনুল আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের পরিচালক এবং স্পোর্টস বোর্ডের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিউল করিম।

উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজনে দুই দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্বে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্ব স্ব ইভেন্টে প্রথম স্থান ও রানার আপ অর্জনকারী প্রতিযোগী এবং চ্যাম্পিয়ন দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা দুই দিনে সর্বমোট ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে (ছেলে এবং মেয়ে আলাদাভাবে) তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন। প্রতিযোগিতার প্রথম দিনের ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে দাবা, ক্যারাম, টেবিল টেনিস, ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট ও ভলিবল। দ্বিতীয় দিনের ইভেন্টগুলোতে অ্যাথলেটিকস, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন, হকি, সাঁতার ও কাবাডি অনুষ্ঠিত হবে। সারা বাংলাদেশ থেকে আগত প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে।