বাসস
  ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪০
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০২

বেগম রোকেয়া ছিলেন নারীদের অগ্রজ সাহসী সৈনিক : শারমীন এস মুরশিদ

সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বেগম রোকেয়া শুধু বাঙালী নারী জাগরণের, বিশেষ করে মুসলিম নারী জাগরণেরই অগ্রদূত নন, বরং তিনি ছিলেন নারীদের অগ্রজ ও সাহসী সৈনিক।

তিনি আজ রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

বেগম রোকেয়ার রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, তোমরা নতুন প্রজন্ম নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেখিয়েছো, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তোমাদের প্রজন্মের সাহস ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। তোমরা প্রতিকূলতার সামনেও মাথা নত করনি, শোষণ ও বৈষম্য মুক্ত একটি দেশের জন্য তোমরা মেয়েরা ছিলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি আরো বলেন,  ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ এর বিপ্লবে মেয়েদের মধ্যে যে নারী জাগরণ আমরা দেখতে পেয়েছি, তোমাদের আমরা হারিয়ে যেতে দেবো না। 

উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের যারা স্নাতকোত্তর অর্জন করেছো, তোমাদের জন্য নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নি খোলার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তোমরা এই মন্ত্রণালয়ের ইন্টার্নির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সমাজে মানুষের কল্যাণমূলক কাজ সম্পর্কে গবেষণা করতে পার।

সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে আরও অংশ নেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিশিষ্টজনেরা।

তিনি বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষা মানুষের শুধু ডিগ্রিই দেয় না, বরং মানুষকে সচেতন ও দায়িত্ববান করে তোলে। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সত্যের সন্ধান, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা। 

তিনি বলেন, সমাবর্তনের মুহূর্তে শুধু নিজের জন্য নয়, গোটা সমাজ ও পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে পরিচয় করে তুলতে আমি তোমাদের আহ্বান জানাই। 

উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রতিটি শিক্ষার্থীই একজন সম্ভাব্য পরিবর্তনের দূত। সমাজে, রাষ্ট্রে ও বিশ্বে তোমরা ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেবে। প্রশ্ন করবে, প্রতিবাদ করবে, প্রয়োজনে নেতৃত্ব দেবে। একসাথে আমরা বাংলাদেশকে সকল শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করবো। এমন একটি দেশ গড়ে তুলবো যা ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করে বিশ্বে এক অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করবে। 

তিনি আরও বলেন, এই দেশ আমাদের সবার। আসুন সবাই মিলে আমরা নতুন বাংলাদেশের জন্য কাজ করি।