শিরোনাম
সাতক্ষীরা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আজ সদর ও শ্যামনগর উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় নাঈম হাসান (১৮) ও মাওলানা ফজলুর রহমান (৫৫) নামে দুইব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি এবং শ্যামনগর উপজেলার তারানপুরে এ দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা নাঈম হাসান জেলার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং নিহত মাওলানা ফজলুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
নিহত নাঈম হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাতক্ষীরা পাশাপাশি সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে, মাওলানা ফজলুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার দরগাহপুর এনডিএস মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের প্রভাষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাঈম হাসান মোটরসাইকেল যোগে তার কর্মস্থল সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আগরদাড়ি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সাতক্ষীরা থেকে বাঁশদহাগামি একটি পণ্যভর্তি ট্রাক (যশোর-ট-১১-১৬৫৬) নাঈম হাসানের মোটর সাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাশেদুজ্জামান জানান, হাসপাতালের আনার আগেই নাঈম হাসানের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক ট্রাক চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী নাঈম হাসানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, জেলার শ্যামনগরের তারানপুর গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাওলানা ফজলুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়ীর প্রাচীরে বৈদ্যুতিক পাম্প (মোটর) যোগে পানি দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।