শিরোনাম
মোংলা, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): মোংলা নাগরিক সমাজ আয়োজিত প্রতিবাদী প্রচারাভিযানে বক্তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে এডিবির বিনিয়োগ জলবায়ু সংকটকে তীব্র করছে।
নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ না করে ফসিল ফুয়েল’র ওপর নির্ভরতা দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও সমাজকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
আজ মঙ্গলবার মোংলার নারিকেল তলায় অনুষ্ঠিত প্রচারাভিযানে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রতিবাদী প্রচারাভিযানে সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম শেখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, এডিবিকে জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি পরিহার করে অবিলম্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এডিবি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে মোট ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এরমধ্যে ৮২ দশমিক ৯ ভাগ চলে গেছে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে, সৌর বিদ্যুৎ মাত্র ২ দশমিক ৫৫ ভাগ এবং বায়ু শক্তিতে কোন বিনিয়োগই হয়নি। যেখানে প্রতি মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগের খরচ শূন্য দশমিক ৫১ মিলিয়ন ডলার, সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পে প্রতি মেগাওয়াটে ২ দশমিক শূন্য চার মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রতিবাদী প্রচারাভিযানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক নেতা পরিবেশযোদ্ধা মো. হাছিব সরদার, নারীনেত্রী ছবি হাজরা, আইরিন বিশ্বাস, ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান, রোজি বিশ্বাস, বিভা বিশ্বাস, নাগরিক নেতা অসীম বিশ্বাস, সঞ্জিত বিশ্বাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ থেকে ৬ মে ইতালির মিলান শহরে অনুষ্ঠিতব্য এডিবির ৫৮তম বার্ষিক সভার প্রাক্কালে শুধু মোংলা নয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ আরো জোরালো হচ্ছে, যাতে উন্নয়ন সংস্থাগুলো তাদের বিনিয়োগ নীতিতে জলবায়ু ন্যায্যতা ও টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করে।