বাসস
  ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫০

প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় এনজিও এবং নাগরিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন : চসিক মেয়র

ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ, আর এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকার, বেসরকারি খাত, এনজিও এবং সাধারণ নাগরিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীতে রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং এনজিও ইপসা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর রুহুল কুদ্দুস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 

অনুষ্ঠানে তিনজন বর্জ্য সংগ্রাহক এবং দুইজন ভাঙ্গারিওয়ালা/সিএসও প্রতিনিধিকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং ইপসার মধ্যে এই সহযোগিতা একটি অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ, যা দেখিয়েছে কীভাবে একসাথে কাজ করে প্লাস্টিককে বর্জ্য নয়, বরং একটি সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। 

তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং এনজিও ইপসাকে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য কর্মীদের কল্যাণে অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা যদি এই পরিবর্তনের নেপথ্যের নায়কদের পাশে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২২ সালের জুন মাসে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং এনজিও ইপসার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এই সহযোগিতা শুরু হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা  সম্ভব হয়েছে। উদ্যোগটির আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা শহরের মোট বর্জ্যের প্রায় ১০শতাংশের সমান। এছাড়া ৩ হাজারের বেশি বর্জ্য কর্মীকে নিরাপদভাবে বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২’শ জনের বেশি ভাঙারিওয়ালা ও ২ হাজার জনের বেশি বর্জ্য সংগ্রাহককে সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ করে তোলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০২৫ সালেও চট্টগ্রামে ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকা ১০শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় । প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে তারা তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও চিফ কনজারভেন্সি অফিসার কমান্ডার আইইউএ চৌধুরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশের লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এস.ও.এম. রাশেদুল কাইয়ুম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পার্টনারশিপ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার এবং ইপসার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর নাসিম বানু প্রমুখ।