বাসস
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৮

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : হাসনাত আবদুল্লাহ 

ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ (বাসস) :  পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রি পদমর্যাদা) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। 
জাতীয় সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষন কমিটির ৫ম বৈঠক শেষে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বৈঠকে চুক্তির প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রি বীর বাহাদুর উসেশিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মোসাম্মৎ  হামিদা বেগম, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা ওরফে শন্তু লারমা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। 
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা চুক্তির সকল ইস্যু বাস্তবায়নে কাজ করছি। আজকের বৈঠকে আমরা চুক্তি বাস্তবায়ন আরও জোরদার করতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর আগে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ছেড়ে যাওয়া ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। 
তিনি বলেন, প্রায় ২৪০ টি অস্থায়ী ক্যাম্প খালি হয়েছে এবং স্থানীয় জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ টি ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ অনেক লোক এখন অহরহ ঘুরতে যাচ্ছে। 
গত ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ তম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে তিন পার্বত্য চেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। 
সে সময়ে জাতীয় সংসদের চীফ হুইফ আবুল হাসনাথ আবদুল্লাহ সরকারের পক্ষে এবং জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে শন্তু লারমা জন সংহতি সমিতির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।