সিলেট, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ (বাসস) : সিলেটে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে আরও একটি অনুসন্ধান কুপ খনন করতে যাচ্ছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল)।
প্রায় ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রশিদপুর-১১ নম্বর কুপ (অনুসন্ধান কুপ) খনন করা হবে। এ কুপটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে (জিওবি)'র অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। তবে শুরুতে এ প্রকল্পে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে ৯৫ শতাংশ এবং কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে বাকি ৫ শতাংশ অর্থায়নের কথা থাকলেও এখন আর সেভাবে হচ্ছেনা। চলতি বছরের ১২ মে রশিদপুর অনুসন্ধান কুপ-১১ খনন করতে ডিপিপি প্রণয়ন করে অনুমোদনের জন্য পেট্রোবাংলায় পাঠায় এসজিএফএল। পরে ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি বিভাগের বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর।
ডিপিইসির এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ডিপিপি তৈরি করে এসজিএফএল। নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত কোম্পানির সর্বশেষ বোর্ড মিটিংয়ে নতুন ডিপিপি অনুমোদন হওয়ার পর পেট্রোবাংলায় পাঠানো হয়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধান এ কুপটি খননের ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এসজিএফএল এর পক্ষ হতে কুপটি খননের প্রাথমিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীতে রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১৩ নং ভূগর্ভের গভীর স্তরের কুপ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডিপিপি প্রস্তুত প্রক্রিয়াধীন রয়েছ।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে রশিদপুর-১১ অনুসন্ধান কুপ খননের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে চলমান গ্যাস সংকট কাটাতে সরকার দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন এ কূপটি খনন করা হবে। সব ঠিক থাকলে এ কুপ থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে তিনি প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির নিজস্ব ও জিডিএফের অর্থায়নে ১ হাজার ৩১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বর্তমানে রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৫টি কূপ দিয়ে দৈনিক ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। বন্ধ থাকা কুপ গুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।