বাসস
  ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩০

নড়াইলে শীতকালীন সবজিতে ক্রেতাদের স্বস্তি

নড়াইল, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): জেলার ৩ উপজেলার হাট-বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকার সবজির দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এসেছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণীর ক্রেতারা। 
জেলা শহরের রুপগঞ্জ হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুল কপি ১৫ টাকা দরে, বাঁধা কপি প্রতি কেজি ১২-১৫ টাকা দরে, প্রতি কেজি শিম ২০-২৫ টাকা দরে, বেগুন প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা দরে, পালংশাক প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা দরে, টমেটো প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে, ওলকপি প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা দরে, লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ২০ টাকা দরে, মুলা প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা দরে, লাউ সাইজ ভেদে প্রতিটি ২০-২৫ টাকা দরে, নতুন আলু প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা দরে, পিঁয়াজের কালি প্রতি কেজি ১৮-২০ টাকা দরে, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ২৫-৩০টাকা দরে, বরবটি প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে, গাজর প্রতি কেজি ৪০টাকা দরে, কাঁচা ঝাল প্রতি কেজি ৬০টাকা দরে, নতুন পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলার ৩ উপজেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৭৯৬ টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ৬৭৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মাঠে শীতকালীন সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। 
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর ভূমি। এখানে উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, শীতকালীন সবজি চাষের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক সহজশর্তে চাষিদের ঋণ দিয়েছে।মওসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।