শিরোনাম
নাটোর, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। নারী উদ্যোক্তারা হচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশের সহায়ক শক্তি।
প্রতিমন্ত্রী পলক আজ রোববার সকাল দশটায় সিংড়ায় তাঁর বাসভবনে নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার একশ’ নারী উদ্যোক্তার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণকালে একথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের জীবন এখন অনেক সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দময়। দেশের সকল নাগরিক সেবা মানুষের দোর গোড়ায়। পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় সমৃদ্ধি লাভ করেছে দেশ। ভর্তুকি এবং প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে আমরা এখন কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। সামনে আরো সমৃদ্ধির হাতছানী। আমরা আর পেছনের দিকে ফিরে যেতে চাইনা।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল পথ পরিক্রমায় বর্তমান মেধাবী প্রজন্মকে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা। ইতোমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে নারীদের সমভাবে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে। স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হার পাওয়ার’ নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে পূজি সরবরাহ করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক শক্তি হবেন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে, সকল প্রতিশ্রুতি পালন করে। সামনের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০৪১ সালের কাংখিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। সকল অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি উপেক্ষা করে বিগত সময়ের মত শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পরে সরকারি খাদ্য গোডাউন চত্বরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০০ পরিবারের মাঝে ৪০০ ভেড়া বিতরণ করেন।