শিরোনাম
ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা আজ বাদ জোহর সুপ্রিমকোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজার নামাজে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, সিনিয়র এডভোকেট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবীসহ মরহুমের শুভাকাংখীসহ স্বজনরা অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এক শোকবানীতে প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রধান বিচারপতি আজ জানাজাপূর্ব এক বক্তব্যে বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গন থেকে একটি নক্ষত্র খসে পড়লো। দীর্ঘ আইনপেশায় তিনি শিক্ষণীয় অনেক কিছু রেখে গেছেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন এসোসিয়েটসের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বাসস'কে জানান, ইতোমধ্যে তার সিনিয়র খন্দকার মাহবুব হোসেনের চারটি জানাজা অনুষ্টিত হয়েছে। মরহুমের পূত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে রয়েছেন। পূত্র দেশে ফিরলে কাল শেষ জানাজা শেষে আজিমপুর নতুন কবরস্থানে খন্দকার মাহবুব হোসেনের দাফন সম্পন্ন হবে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈত্রিক বাড়ি বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জন্যে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি দীর্ঘ আইনপেশায় বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।