বাসস
  ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৮

আল-কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ ৬ জন গ্রেফতার

ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের (সিটিটিসি) সিটি ইন্টেলিজেন্স এ্যানালাইসিস ডিভিশন।
রোববার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আব্দুর রব, মো. সাকিব, মো. শামীম হোসেন, মো. নাদিম শেখ, মো. আবছার ও মো. সাইদ উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আব্দুর রব কোরআনে হাফেজ ও কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন। তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসে সৌদি-আরব চলে যান। সেখানে তিনি অনলাইনে বিভিন্ন জিহাদি পোস্ট ও ভিডিও দেখে জিহাদের জন্য অনুপ্রাণিত হন। অনলাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের একটি ভিডিও কমেন্টের সূত্রধরে সাইদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একইভাবে শামীম, সাকিব, নাদিমসহ আরও কয়েকজনের সাথে তার পরিচয় হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে। তিনি সবাইকে অনলাইনে একত্রিত করে শরীয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন, জিহাদ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, বিদেশে অবস্থানরত এক বাংলাদেশী সহযোগির সঙ্গে অনলাইনে তাদের পরিচয় হয়। পরে তিনি অডিও-ভিডিও কলে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের হিজরত করে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে সেই সদস্য লিবিয়ায় অবস্থানরত আরও একজন বাংলাদেশী এবং টেকনাফের স্থানীয় একজনের সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় আব্দুর রব, শামীম, সাকিব, নাদিম, সাইদসহ অন্য যারা হিজরতে রাজি তারা প্রথমে টেকনাফ গিয়ে তাদের স্থানীয় সহযোগিদের মাধ্যমে ট্রেনিং গ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের জন্য জিহাদ করবেন।
সিটিটিসি অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ২০২২ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় টেকনাফে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। পরে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর সাকিব ও নাদিম টেকনাফ যান। গ্রেফতারকৃত আবছার ও স্থানীয় সহযোগী তাদেরকে টেকনাফে ভাড়া বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। আব্দুর রব যথাসময়ে দেশে আসতে না পারায় তারা টেকনাফের বাসায় অবস্থান করে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বরে আব্দুর রব দেশে আসার পর তার সহযোগী শামীম ঢাকায় এয়ারপোর্ট থেকে তাকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তাদের অন্য সহযোগীর ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যান। দু’দিন পরে তারা সাকিবদের সাথে মিলিত হন এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন ভিত্তিক অ্যাপসে যোগাযোগ করে দল গঠন করেন। তারা টেকনাফে হিজরত করে এবং স্থানীয় সহযোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। 
গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের নেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।