বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১১

জয়পুরহাটে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে সোলার সিস্টেমের ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রদান

জয়পুরহাট, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : পেশা ছিল ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো। আজ থেকে তারা আর ভিক্ষাবৃত্তি করবেন না।আজ  সকালে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ছয় ভিক্ষুককে দেওয়া হলো একটি করে সোলার সিস্টেম সম্বলিত ভ্রাম্যমাণ দোকান ( ভ্যানগাড়ী) এবং দোকানে বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে এমন একটি চোখ ধাঁধানো উদ্যোগ নিয়েছেন  জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা  অধিদপ্তর। 
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম হাবিবুল হাসান জানান, ভিক্ষাবৃত্তির ভালো কাজ নয়। এখন থেকে তারা ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেচা কেনা করবেন। এ থেকে যা আয় হবে তাই দিয়ে সংসার চালাতে পারবেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ ভিক্ষুকদের হাতে ওই ভ্রাম্যমাণ দোকান (ভ্যানগাড়ী) তুলে দেন। ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রাপ্তরা হচ্ছেন  আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বারইল গ্রামের আব্দুল আজিজ, রায়কালী ইউনিয়নের দিঘলগাড়ী গ্রামের ফেরদৌস প্রামানিক, সোনামূখী ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের সুরুজ দেওয়ান, তিলকপুর ইউনিয়নের বামনী গ্রামের মোছা: ফাতেমা বেগম, রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম রুকিন্দিপুর গ্রামের মীনা বেগম এবং আক্কেলপুর পৌরসভার মকিমপুর মহল্লার মোছা: ছাইরন বিবি। এরা সকলেই ভিক্ষিাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানান, ইউএনও এস এম হাবিবুল হাসান। সোলার সিস্টেমের ভ্রাম্যমাণ দোকান (ভ্যানগাড়ী) পেয়ে খুশি বলে জানান, ফেরদৌস প্রামনিক। তিনি আর ভিক্ষাবৃত্তি করবেন না এমন প্রত্যাশার কথা জানান। ছাইরন বিবি বলেন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতাম। কেউ দিত, কেউ দিতনা আবার লোকজন ভালোও বলতো না। এখন আমি দোকান নিয়ে এলাকায় ঘুরে  জিনিস বিক্রি করবো। এতে মানুষ আর অবহেলা করতে পারবে না। এখন ব্যবসা করে খাব। সুরুজ দেওয়ান বলেন, আর ভিক্ষা করবো না। সোলার সিস্টেমের ভ্যানগাড়ী করে মালামাল বিক্রি করে সংসার চালাবো। এতে খুশি বলে জানান তিনি। আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, আক্কেলপুর উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ পাইলট প্রকল্প হিসেবে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে পাঁচজন ও পৌর এলাকায় একজন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের আওতায় এনে সোলার সিস্টেমের ভ্যানগাড়ী দেওয়া হয়েছে। মালামালসহ প্রতিটি ভ্যানগাড়ীর পেছনে খরচ পড়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেচা করতে পারবেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান প্রাপ্তদের  নিয়মিত তদারকি করা হবে বলেও জানান তিনি।