শিরোনাম
ঠাকুরগাঁও, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : দেশের উত্তর জনপদের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও। হিমালয়ের অনেক কাছে হওয়ায় এখানে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৫.৪ ও ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এবার যেন শীত একটু বেশি দাপুটে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের তীব্রতা শুরু হলেও জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে শীতে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠাকুরগাঁও জেলায় কখনো সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে আবার কখনো চলছে হালকা রোদের আশা যাওয়া। গত দুইদিন দিন ধরে বাতাসে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। রাতের বেলা বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে। সূর্যের দেখা মিলছে না গত তিনদিন ধরে। রাতে ও সকালে ঘন কুয়াশায় যানবাহন চলতে সমস্যা হচ্ছে। হেড লাইট জ¦ালিয়ে গাড়ি চলছে।
এ জেলায় শীতের এ প্রকোপ বেশি হওয়ায় প্রতি বছর শীত মৌসুমে বিপাকে পড়ে এই অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এবারো প্রচন্ড শীতে সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। অতিরিক্ত শীতের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, এ জেলায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাড়াতাড়ি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই বয়স্ক ও শিশুদের এই সময়ে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। আর শীতে সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিচুটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। এরপরেও চিকিৎকরাসহ সকলে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সব সময়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শীতার্তদের সহায়তায় সরকারিভাবে ইতোমধ্যে ৩২ হাজার ৬০০ কম্বল পেয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও ১২ লাখ টাকা এসেছে চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র ও কম্বল কেনার জন্য। অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সকল ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে ।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এবার জেলায় শীতের প্রকোপ একটু বেশি। সরকারিভাবে যে কম্বলগুলো আমরা পেয়েছি তা ইতোমধ্যে বিতরণ হয়ে গেছে। উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোতে ভাগ করে দেয়া হয়েছে কম্বলসূমহ। জেলার শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য ইতোমধ্যে আরও ২৫ লাখ টাকা ও ১ লাখ কম্বল অতিরিক্ত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। ইতোমধ্যে দু’টি বেসরকারি সংগঠন আমাদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করেছে। এছাড়া জেলার বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।