শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : সাধারণ মানুষের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ৩০ শয্যার আন্তর্জাতিক মানের আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বরাবরের ন্যায় মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতি চট্টগ্রামবাসীর আন্তরিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, নগরবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার মতো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আইসিইউ ইউনিট।
তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হবে সস্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে। যাতে মানুষ এ হাসপাতালে সেবা পেয়ে উপকৃত হয় এবং সেবা নিতে বারবার এ হাসপাতালকেই বেছে নেয়। এসময় তিনি আরও বলেন, আইসিইউ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় কঠোর পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে যাতে, বাহকের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল সুত্র জানায়, ধনাঢ্যদের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ স্থাপন করা হয়। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে আধুনিক যন্ত্রপাতির ওই ৩০ শয্যার আইসিইউতে আছে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। ওই আইসিইউতে একই ছাদের নিচে সব ধরণের সেবার পাশাপাশি কম খরচে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান অলক নন্দী জানান, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দানের টাকায় স্থাপিত এই আইসিইউ থেকে কম খরচে উন্নতমানের সেবা পাবেন গরিব রোগীরা। করোনা মহামারিতে পাশে থাকবে সাধারণ মানুষের। আইসিইউতে আছে ডায়ালাইসিস ও আলাদা আইসোলেশন আইসিইউ। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছ ২০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, আমরা করোনার নতুন ধরন বিএফ সেভেন মোকাবিলায় প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে আরও শয্যা বাড়াব। করোনায় শ্বাসকষ্টের রোগীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইসিইউ সেবা। আগামীর ভয়ংকর নতুন ধরন বিএফ.৭ মোকাবিলায় আছে আলাদা আইসোলেশন আইসিইউও।
আইসিইউ ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ কম খরচে এক লাখ টাকার সেবা পাবে মাত্র ৮ হাজার টাকায়। উন্নত বিশ্বের আদলে এই আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে হয়েছে সবই।
মহামারি করোনার ভয়াবহ সময়ে চট্টগ্রামে আইসিইউ বেডের জন্য স্বজনদের আহাজারি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব দেখেছে চট্টগ্রামবাসী। এমনকি ছেলের জন্য আইসিইউ বেড ছেড়ে দিয়ে মা প্রভা পালের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনাও সেই সময় নাড়া দিয়েছিল নগরবাসীকে। সেই ভয়াবহতা ও সংকটময় মুহূর্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ৩০ শয্যার আইসিইউ বেড।