ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষায় সরকার গভীর মনোযোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার ধারনা নিয়েই সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিসহ অনেকগুলো টেকনিক্যাল কলেজ, ভকেশনাল স্কুল এবং ট্রেনিং সেন্টারের বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিয়েছে।'
আজ ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন এবং রিপোর্টও  হাতে পেয়েছিলেন।সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করে কারিগরি এবং ভকেশনাল শিক্ষার কথা বলা ছিলো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা সেই রিপোর্ট বান্তবায়ন করে যেতে পারেননি।কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট জনশক্তি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় আজকের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক উপায়ে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। আমার  বিশ্বাস এই তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে বদলে দেবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।  বাংলাদেশের এই তরুণরা সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে।