শিরোনাম
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনি ওরফে শামসুন্নাহার স্মৃতির নামে দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের জারি করা রুল এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
পরীমনির আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি।
গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর পরীমনি 'লিভ টু আপিল' করেন।
আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করে এবং ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চারদিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর একই বছরের ১৯ আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।
পরে একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।