শিরোনাম
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): শরীয়তপুরে ‘শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন-২০২৩ মন্ত্রী সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এ খবরে ঊচ্ছ্বসিত শরীয়তপুরের মানুষ। তারা বিভিন্ন স্থানের আনন্দ-উল্লাস ও মিস্টি বিতরণ করেছে।
শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি ২০২১ সালের ১০ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির কাছে একটি আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দেন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হলে ওই বছরের ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নীতিগত অনুমোদন দেন। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সোমবার (৯ জানুয়ারী ২০২৩) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভায় শরীয়তপুরে “শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” আইন-২০২৩ অনুমোদন করা হয়।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, এই অঞ্চলে কৃষি শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নামে জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খবর অনেক আনন্দের। নিঃসন্দেহে শরীয়তপুরবাসী তথা বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় আশীর্বাদ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে কৃষি প্রধান এই অঞ্চল আরও এগিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, শরীয়তপুর জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় কৃষির যে অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে “শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে “শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” কৃষি নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে, কৃষির ওপর গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনে পাল্টে যাবে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি, শরীয়তপুরবাসী সহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য “শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” আশীর্বাদ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।