বাসস
  ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৬
আপডেট  : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৩৬

পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে নানামুখী কর্মপরিকল্পণা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে : পাটমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেছেন, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতো পাটের ক্ষেত্রেও সকল প্রকার আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। 
গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক আজ দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) নেতৃবৃন্দেরে সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
 এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন সহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকে পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী’র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। 
মন্ত্রী বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে পাটজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে ৫ থেকে ২৫ ভাগ নগদ ভতূর্কি প্রদান করছে।
তিনি বলেন, জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। 
মন্ত্রী আরো বলেন, বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে আরও জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে। এজন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রাসারণ’ প্রকল্পের আওতায়  অল্প জমিতে বেশি পরিমাণ পাট উৎপাদন, পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করা, পাটচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পাটচাষীকে বিনামূল্যে উফশী জাতের পাটবীজ সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপিও) এবং বালাইনাশক সহ কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে। 
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।