শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : শীতের তীব্রতায় কুমিল্লায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনা জমে উঠেছে গরমকাপড়ের দোকানগুলোতে। শীত নিবারণের প্রয়োজন গরম কাপড়। জেলায় শীতের আমেজ বাড়ার সাথে সাথে গরম পোশাক কেনার দিকে মানুষ ঝুঁকছে। কুমিল্লার কর্মজীবী, শ্রমজীবীসহ নগর গ্রাম-গঞ্জের মানুষ হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছে। শীত থেকে বাঁচতে মানুষজন ছুটছে গরম কাপড়ের খোঁজে। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কুমিল্লা নগরীর টমসমব্রীজ, আশাকতলা, ধর্মপুর এলাকায় শীতের পোশাকের কদর বেড়েছে। নগরীর মার্কেট, শপিং সেন্টারগুলোতেও জমে ওঠেছে শীতের পোশাক বেচাবিক্রি। নি¤œবিত্ত বা স্বল্প আয়ের লোকজন ভিড় করছে নগরীর ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। গত কয়েকদিন থেকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নগরীতে জমে ওঠেছে গরম কাপড়ের বেচাবিক্রি। ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড় এলাকায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে গরম কাপড়ের কেনাবেচা। হকারদের হাঁকডাকে মুখরিত ফুটপাত। পথচারীরা চলতে গিয়ে একবারের জন্য হলেও বেছে নিচ্ছেন নিজের ও পরিবারের ছোট বড়দের জন্য গরম কাপড়। কেউ একদামে কিনছেন আবার কেউ করছেন দর কষাকষি।
নগরীর ফুটপাতগুলোতে গার্মেন্টসের কমদামের বিভিন্ন আইটেমের শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন। ফুটপাতগুলোতে জ্যাকেট, স্যুয়েটার, গরম কাপড়ের শার্ট, প্যান্ট, টাওজার এবং ছোটদের বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি কম্বলও পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নবিত্ত পরিবার বা স্বল্প আয়ের লোকজনের চাহিদা মেটাচ্ছে ফুটপাতের এসব গরম কাপড়। নগরীর ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ হচ্ছে গরম কাপড়ের বিক্রির অন্যতম এলাকা। সারা বছরই গরম কাপড়ের ব্যবসা করেন এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা কম হলেও শীত এলে ফুটপাতে হিড়িক পড়ে গরম কাপড়ের মৌসুমী হকার বা দোকানিদের। গরম কাপড়ের ব্যবসা এখন ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ এলাকা ছাপিয়ে নগরীর কান্দিরপাড়, রেলস্টেশন, রেইসকোর্স, পুলিশ লাইন, চকবাজার এলাকায় স্থান করে নিয়েছে। উপজেলার হাট বাজারগুলোতেও এখন গরম কাপড়ের বেচাকেনা জমে উঠেছে।
কুমিল্লা হর্কাস মাকের্টের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাসসকে বলেন, গত কয়েক দিনে শৈত্যপ্রবাহের কারণে মার্কেটে ভিড় বেড়েছে। তবে এবছর কমমূল্যই সবায় গরম কাপড় কিনতে পারছেন বলে তিনি জানান।