শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া, (গোপালগঞ্জ), ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে গর্বিত গোপালগঞ্জের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দ্রুত স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটি চালু হলেই গোপালগঞ্জসহ আশাপাশের ৭ জেলার মানুষ মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এখন হাসপাতালের যন্ত্রপাতি স্থাপন, কক্ষগুলোতে আসবাবপত্র সাজানো ও ডেকোরেশনের কাজ করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপতাল নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নাসিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, বই, প্যাথলজির জিনিসপত্র ক্রয় করা হয়েছে। এগুলো সেটিংএর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে অন্তত ৩০টি বিভাগ থাকবে। সেই সাথে আইসিইউ, ডায়ালিসিস, আইসোলেশন বা করোনা ইউনিট, সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেসিন, ইকোকার্ডিও গ্রাফিসহ সর্বাধুনিক প্যাথলজি থাকছে। এখানে ডোপ টেস্ট, হরমোনটেস্টসহ বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হবে। এখান থেকে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবেন। এই হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
পিডি ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, আগামী সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের নেতৃত্বে একটি টিম এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। টিমের সদস্যরা আমাদের সাথে বৈঠকের কর্মসূচি আছে। শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি জনহিতকর ও গোপালগঞ্জের একটি মেগা প্রকল্প। এটির আউটডোর সেবা আগামী ৮ ফের্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আগামী ১৭ মার্চ এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করে যাচ্ছি। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন গোপালগঞ্জবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এই হাসপাতালের উদ্বোধন করতে পারেন।
গোপালগঞ্জ শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মারুফ হোসেন (৫০) বলেন, এই হাসপাতাল গোপালগঞ্জের টিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুনমাত্রা যোগ করবে। এখানে বসেই আমরা আধুনিক চিকিৎসা সেবা পাব। হাসপাতাল চালু হওয়ার পর আর আমাদের ঢাকা-খুলনা বা বরিশাল যেতে হবে না। এমন একটি হাসপাতাল করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আধুনিক গোপালগঞ্জের রূপকার শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপিকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকার বাসিন্দা এসএম সেলিম বলেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডকেল কলেজ হাসপাতালের স্থাপনাটি চমৎকার। এটি অধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই হাসপাতালটি এলাকার শোভাবর্ধণ করেছে। এখন নান্দনিক এই হাসপাতালটি চালু হলে আমরা এখান থেকে বিশ^মানের স্বাস্থ্যসেবা পাব। এই জন্য এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানাই।
গোপালগঞ্জ শহরের পাচুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, এই হাসপাতালটি গোপালগঞ্জ বাসীর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সেরা উপহার। এমন প্রতিষ্ঠান পেয়ে আমরা ধন্য।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সর্বত্র উন্নয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই এই সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে। তাই সরকার প্রধানের নিজ জেলা গোপালগঞ্জে ধারবাহিকভাবে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। গোপালগঞ্জ সদর আসনের এমপি বর্ষিয়ান জাতীয় জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইয়ের অন্তরিক প্রচেষ্টায় গোপালগঞ্জে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আধুনিক গোপালগঞ্জের রূপকার। তিনি গোপালগঞ্জ বাসীর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করেছেন। এখন জনহিতকর ও আধুনিক মানের একটি বিশাল হাসপাতাল গোপালগঞ্জে তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখান থেকে গেপোলগঞ্জের মানুষ সহজে সবধরণের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। আর গোপালগঞ্জবাসীকে ঢাকা-খুলনা যেতে হবে না। এই জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।