বাসস
  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৫৭
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৪

বাংলাদেশের বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতিকে সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় আনা প্রয়োজন

ঢাকা, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩ (বাসস) : ‘সামুদ্রিক শুঁটকির উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ : সুনীল অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক আজ এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতটিকে সমন্বিত পরিকল্পনার আওতয় আনা প্রয়োজন।
মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিগত ৩০ বছরে এই খাতে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই, বর্তমান সরকার সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতটিকে পরিকল্পনার আওতাধীন এনেছে। ঈপ্সিত ফলাফল অর্জন না হওয়ার মুলে সমন্বয়হীনতা, অপর্যাপ্ত স্টোরেজ, মৎস্য বিভাগের স্বল্প লোকবল, কোয়ালিটি কন্ট্রোলের অভাব, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চনা রয়েছে। এছাড়া এর সংক্রান্ত ব্যবসা, বা অন্য সংস্থা যা ব্যক্তি মালিকানাধীন সেগুলো কোঅপারেটিভ বা যৌথভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।
কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও  বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদের সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী,  কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা তানজিরা আক্তার ও বিশিষ্ট উদ্যোক্তা কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আবেদ আহসান সাগর।
পরিবেশগত অবক্ষয় রোধ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সমুদ্র উপকূলের অদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও প্রণোদনার ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, কনোলজি ব্যবহার, প্রক্রিয়া ও গুদামজাত করণে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের প্রভাবে শুকনো মাছের দাম বেড়ে যায়, প্রোডাক্টের মূল্য পেতে দীর্ঘ সূত্রিতা ও সঙ্কট সৃষ্টি হয়. সরকারের প্রণোদনা ছাড়া এ খাতের টেকসই উন্নয়ণ সম্ভব নয়, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর মার্কেট ভ্যালু চেইন গ্রুপের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও সুবিধাভোগী আলোচকগণ ও তৃণমূলে মৎস্যখাতের সমস্যাবলী যেমন স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সামুদ্রিক খাদ্য ও শুকনো মাছের উৎপাদন ও এগুলো বাজারজাতকরণের বাধা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, আজিজ উদ্দিন, মাহবুব আলম, নাজমা রেশমী, শাকিল আলম, খাইরুল আহসান মানিক এবং আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন আব্দুল মালেক নাঈম, শিরিন ফেরদোসী, সাইফুর হাসান, শামসুল হাবিব এবং সাজ্জাদ হোসেন।
সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ বলেন, সমূদ্র অর্থনীতির সদ্ব্যবহার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুরক্ষা দেবে তবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ নারী ও শিক্ষিত যুবসমাজকে উদ্যোক্তা এবং কর্মী হিসেবে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ ও অর্থ প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতাবৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দানে বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর গ্রুপ কোস্টাল-১৯ আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা স্টেপ টু হিউম্যানিটি এসোসিয়েশনের সমর্থন লাভের আশ্বাস পেয়েছে। সাসটেইনেবল ব্লু-ইকোনমির জন্য পরিবেশগত অবক্ষয় এবং সমুদ্রের পানির দূষণ কমানো এবং মৎস্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।