বাসস
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪

কুমিল্লায় দ্রুত এগিয়ে চলছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ

।। কামাল আতাতুর্ক মিসেল।।
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২৪ জানুয়ারি,২০২৩ (বাসস) : দ্রুত এগিয়ে চলছে কুমিল্লার চান্দিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ একটি করে ঘর পাবে ৮১টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগামী মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের আপন ঠিকানার উদ্বোধন করবেন এবং তাদের হাতে তুলে দিবেন ঘরের চাবি। 
সবুজের মাঝে এক টুকরো লাল। পরিকল্পনায় আছে এমনটাই। গ্রামীণ শান্ত পরিবেশের সাথে আধুনিকতার মিশেলে আকাশ থেকে যেনো দেশের পতাকার মতোই দেখা যাবে চান্দিনা উপজেলার ভোমরকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পটিকে। চান্দিনা-মাইজখার সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পে একসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ৮১টি দৃষ্টিনন্দন ঘর। এ প্রকল্পের একাশিটি পরিবারের জন্য থাকছে বাজার, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান ও পুকুর। আর প্রকল্পের ভেতরে থাকবে প্রশস্ত রাস্তা। আশ্রয়ণ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর ঘরের চালগুলো ওপর থেকে জাতীয় পতাকার মতো দেখা যাবে। প্রকল্পটির ঘরগুলো যাদের জমি-ঘর কিছুই নেই তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে। আধুনিক আবাসন প্রকল্পে থাকবেন ভাগ্য বিড়ম্বিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা। যাদের নিজের বলতে নিজের বলতে কিছুই ছিলো না। এমনকি একটি স্থায়ী ঠিকানাও না। ঘর প্রতি বরাদ্দ প্রায় দুই লাখ ৬০ ষাট হাজার টাকা। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করছেন ঘরগুলোর নির্মাণের কাজ। আশ্রয়ের পাশাপাশি সেখানে থেকেই যেন আয়ের পথ বেছে নিতে পারেন মিলবে সেই সুযোগও। এজন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করা আছে।
চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত আবাসনে ঠাঁই দিবেন গৃহহীনদের। সেই সাথে যুক্ত হবে চান্দিনার আরও ৮১টি গৃহহীন পরিবার। তাদের বরণ করে নিতে তৃতীয় পর্যায়ের ৩১টি ও চতুর্থ পর্যায়ের ৫০টি নতুন গৃহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। 
উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামে একই সাথে ৪০টি গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ১৮টি ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ২২টি ঘরের মধ্যে কোনটির রংয়ের কাজ, কোনটির নির্মাণ কাজ চলছে। 
এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বাসসকে বলেন, ঘর সঠিক মানে নির্মাণ কাজে আমরা কঠোর ভাবে তদারকি করছি। আশাকরি যথা সময়েই আমাদের সবগুলো ঘরের কাজ নির্মাণ শেষ হবে।