বাসস
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে নিরসন হচ্ছে সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতা : উপকৃত হবেন লাখো কৃষক

ঠাকুরগাঁও, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন হয়েছে। রি-এক্সকেভিশন মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন করা হয়। জলাবদ্ধতার কারণে দীর্ঘদিন এই বিলের প্রায় ১ হাজার একর জমির ফসল ফলানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মাটির নিচে পাইপ দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন পানি নিষ্কাশনের মাধমে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। 
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা গ্রামের মোহনপুর মাঠে সম্প্রতি সোনাকুড়ি বিলের বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যম বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলার সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রেজা মো. নুরে আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমডিএ ঠাকুরগাঁও এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম, পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়্যারম্যান আকতারুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান টেলিনা সরকার হিমু প্রমুখ।
পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়্যারম্যান আকতারুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ২কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে ২ দশমিক ৫ কি.মি. দূরত্বের ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের নির্মাণ হলে পানি নিষ্কাশনের মাধমে এখন উক্ত বিলে বিভিন্ন ধরণের ফসল ফলানো সম্ভব হবে। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। 
ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, এই জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে একদিকে কৃষকদের উৎপাদিত ধান ও ফসল বাঁচবে বর্ষাকালে। আর অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন হলে তখন অন্যান্য অনেক ফসলে উৎপাদনও বাড়বে। এতে এই এলাকা ও অঞ্চলের কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।  
ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ’র প্রকল্প পরিচালক রেজা মো. নুরে আলম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন পানি নিষ্কাশনের মাধমে এখন উক্ত বিলে ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে। এতে করে এই এলাকার কৃষকরা আমন ও বোরো মৌসুমে কৃষি কাজে আর ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা। আমাদের এই জেলায় আরও কোথাও জলাবদ্ধতা থাকলে সেখানেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেন জেলার কোথায় এক ইঞ্চি জমি জলাবদ্ধতা বা সেচের অভাবে পতিত না থাকে। 
এ অঞ্চল ও এলাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ কৃষকের উন্নয়ন হবে। তারা সময় মতো বিভিন্ন ফসল যেমন করতে পারবেন, তেমনি ধানসহ বিভিন্ন ফসল আর স্বল্প বৃষ্টিপাত বা জলবদ্ধতার কারণে নষ্ট হবে না।