বাসস
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৭

গোপালগঞ্জে ৬ লাখ ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) ,৩০ জানুয়ারি,২০২৩ (বাসস) : গোপালগঞ্জে ৬ লাখ ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ  করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নিম্নজলা ভূমি বেষ্টিত  গোপালগঞ্জ জেলায় এক ফসলী জমির পরিমান বেশি।এসব জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল ফলে। তাই বোরোধান এ জেলার প্রধান ফসল হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরই গোপালগঞ্জ জেলায় বিশেষ গুরুত্বের সাথে বোরোধানের আবাদ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, গোপালগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় ৮০হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এরমধ্যে  ৫৮ হাজার ৩৪০ হেক্টরে হাইব্রিড,  ২২ হাজার ২০০ হেক্টরে উফশী  ও ৬ হেক্টরে স্থানীয় জাতের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে সাড়ে ৭ টন ধান উৎপাদিত হবে। সেই হিসেবে চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৬ লাখ ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান জেলার ৫ উপজেলায় ২৭ হাজার ৬৪২ হেক্টরে হাইব্রিড, ৭ হাজার ১৬২ হেক্টরে উফশী ও ২ হেক্টরে স্থানীয় জাতের বোরোধনের আবাদ হয়েছে।বাদবাকী জমিতেও উৎসবের আমেজে ধানের আবাদ চলছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, বোরোধানের উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কোটালীপাড়া উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫% জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ বাড়িয়েছি।তাই গত বছরের তুলনায় এবছর ধানের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, ধানের চাষাবাদ বাড়িয়ে আমরা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকও ব্যাপক উৎসাহে ধানের আবাদ করে যাচ্ছেন। আশাকরছি আমরা ধান উৎপাদনের টার্গেট পূরণ করতে পারব।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সরোজ কান্তি বাইন বলেন, কৃষি প্রণোদনার ধানবীজ ও সার পেয়েছি। এগুলো পাওয়ার পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ করেছি। আশা করছি প্রতি শতাংশে ১মণ ধানের ফলন পাব।এতে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। 
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটাগাতী গ্রামের কৃষক ইমরুল সরদার বলেন, আমি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ৩ বিঘা জমিতে প্রথম আগাম সরিষার চাষ করেছি।১০ দিনের মধ্যে এ সরিষা কাটা হবে । তারপর ধানের চাষাবাদ করব। বীজতলায় ধানের চারা প্রস্তুত করেছি ।ধান রোপণ করে আমি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই।
কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের কৃষক ফাহিম হোসেন বলেন, আমাদের জমি বছরের ৭ মাস জলমগ্ন থাকে। এ  জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল বোরোধান ফলে। তাই সংসারের খরচের বছরের ধান পেতে আমি ৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধানের আবাদ করেছি। গত বছর ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছিলাম। আশাকরছি এ বছরও ধানের ভালো ফলন পাব। সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি ধান বাজারে বিক্রি করব।