শিরোনাম
বান্দরবান, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা আরো ৫১ পরিবারের ২৭০ জনকে আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আর আর আরসি'র নিজস্ব যানবহানে করে তাদের কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার আর আর আর সি শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্বয়ে রোহিঙাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
এদিকে শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন সরিয়ে নেয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত ছিলেন। যাদের ডাটা আছে তাদের স্ব-স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে-পাশে অবস্থান করা ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হবে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১৮৪ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ইউএনএসিআর থেকে নিবন্ধিত রয়েছে ২৪ পরিবার ও আইসিআরসি’র নিবন্ধিত ১২টি পরিবার রয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তমব্রুর এপারে আশ্রয় নেয়।