শিরোনাম
যশোর, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : স্বল্প খরচ আর কমসময়ে অধিক লাভের আশায় মসুর ডাইল চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাষিরা। গত এক দশকে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের বীজ বাজারে আসায় কৃষক অন্য ফসলের পরিবর্তে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়েছে মুসুর ডাইল চাষে। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম। বাজারে চাহিদাও ব্যাপক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চৌগাছা অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছরে উপজেলায় ৬’শ ৩০ হেক্টর জমিতে মুসুর ডাইল চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে ৫’শ ৫০ হেক্টর জমি। কৃষকদের গম চাষে ফিরে আসা ও ভুট্টা চাষের কারণে ৮০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। যা চাষ হয়েছে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। ক্ষেত ভর্তি ফুল ও ফল দেখে এবার কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের ব্যাপারে চাষিরা আশাবাদী।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুসুর চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় কম খরচে যথা সময়ে মুসুরের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি বীজ, সার ও অন্যান্য সহযোগিতার কারণে খরচ কমেছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তীর্ণর্ ফসলের মাঠ এখন ফুলে ফুলে ভরে আছে। উপজেলার সুখপুকুরিয়া, স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর, পাশাপোল, ধুলিয়ানিসহাকিমপুর, পাতিবিলিা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দেখা যায়, গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এখন মুসুর ক্ষেতে কীটনাশক এবং ওষুধ প্রয়োগের কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষিরা।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি লাভলুর রহমান, মনটু, হোসেন আলী, বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় মুসুর ডাইল চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়। একটু দেরিতে বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘মুসুর ডাইল একটি লাভজনক ফসল। মুসুর ডাইল চাষের জমিতে পরবর্তী সময়ে পাট চাষ করার জন্য সার খরচ খুবই কম হয়। মুসুর ডাইল চাষের কারণে জমিতে প্রচুর জৈব সারের সুষ্টি হয়। এর ফলে পাটের ফলন খুব ভালো হয় এবং জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়।