বাসস
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:০৩

ফেনীর দাগনভূঞায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ

ফেনী, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার দাগনভূঞায় কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ফসল উৎপাদন প্রকল্প নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নিয়ন প্রকল্পের আওতায় ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলায় আবাদ হচ্ছে ভুট্টা। চাহিদা বাড়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হ”্ছে ওই  জেলায় ভুট্টার আবাদ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে উপজেলায় মাত্র ১২ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে আবাদ বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। চলতি মৌসুমে অত্র উপজেলায় ২৯ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম, ফলন বেশি এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় গত বছরের চেয়ে দাগনভূঞা উপজেলায় এবার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা ও দামও ভালো তাই ভুট্টার চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় দিন দিন কৃষকের কাছে ভুট্টা জনপ্রিয় ফসল হয়ে উঠেছে।
ওই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের কৃষক স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু ১ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল প্যাসিফিক ৬০ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উচ্চ ফলনশীলন বিভিন্ন জাতের ভুট্টার আবাদ করছেন কৃষকারা।
ভুট্টা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ভুট্টা পোলট্রি খামার ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও মানুষের খাদ্য হিসেবেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভুট্টার রোগ-বালাই কম ও ফলও বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলামের ভূট্টার জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, ভুট্টার সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে তার জমি। ভুট্টার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পারছেন কৃষক লাভলু। তিনি জানান, বৈশ্বিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি আমার অনাবাদি জমিগুলোতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও সরকারি প্রণোদনা পেয়ে ১ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশাকরি লাভবান হবো। পাশাপাশি ১২০ শতক জমিতে বোরো ধান ও ৬৬ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকের হোসেন ও কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকের হোসেন বলেন, স্বল্প খরচে উচ্চফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এজন্য অত্র ইউনিয়নের কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ভুট্টা একটি দানাদার জাতীয় ফসল, এটি সারা বছর চাষ করা যায় তবে আমাদের দেশে এটি মূলত রবি মৌসুমে চাষ করা হয়। আমাদের দেশে প্রাণি খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু এসকল প্রাণি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক বর্তমানে নিজেই ভুট্টার আবাদ করছে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার, বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে।