শিরোনাম
ভোলা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় এগিয়ে চলছে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম। হাইব্রীড ও উফশী জাতের ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে হাইব্রীড ১৬ হাজার ও উফশী ৫৪ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ৩ লাখ এক হাজার মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তাই বর্তমানে বোরোর চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছে কৃষকরা।
এদিকে বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে এবছর ৩৯ হাজার কৃষককে বিনামুল্যে বীজ সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত জেলায় বোরোর আবাদ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আবাদ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, জেলায় বোরো ধানের উফশীর মধ্যে সাধারণত ব্রীধান-২৮, ২৯, ৪৫, ৪৭, ৫০, ৫৫, ৫৮, ৬৭, ৭৪, ৮৮, ৮৯। ইরাটম-২৪। বিনা-৮, ১০ ইত্যাদি জাতের চাষ করা হয়। এছাড়া হাইব্রীডের মধ্যে দুর্বার, এসএলএইটএইস, পার্টেক্স-১, কেজিগোল্ড রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম থেকে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে আরো প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে জানান, জেলায় বোরো ধান হাইব্রীড জাতের জন্য ১৮ হাজার কৃষককে বিনামুল্যে ২ কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়েছে। আর উফশীর জন্য ৫ কেজি উন্নত জাতের বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার পেয়েছে ২১ হাজার কৃষক। এছাড়া এক বিঘা জমির অনুক’লে প্রায় এক হাজার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকার কৃষক ফিরোজ আলী, লোকমান হোসেন ও মোসলেউদ্দিন জানান, তারা সরকারিভাবে বীজ-সার পেয়েছেন। ৫ একর জমিতে এবছর বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত করেছেন। বর্তমানে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ পাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে জানান, জেলায় বোরো ধান আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বোরোর চারা রোপণে রাইস ট্রান্স প্লান্টার যš’¿র ব্যবহার শুরু হওয়ায় কৃষকদের শ্রমিক সংকট দূর হচ্ছে। স্বল্প সময় ও ব্যয়ে অধিক চারা রোপণ করা যাচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের ফসলের মাঠে সেচের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অর্ধশাতাধিক সেচ যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দিচ্ছে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।