শিরোনাম
সিলেট, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : সিলেটে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র ‘লাইলাতুল মিরাজ’ বা শবে মেরাজ পালিত হয়। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর তাসবীহ-তাহলীল, নফল নামাজ, কোরআনখানিসহ বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে মুসল্লিরা শবে মেরাজ পালন করেন। মসজিদে মসজিদে শবে মেরাজের তাৎপর্য বিষয়ে বিশেষ ওয়াজ, দোয়া মাহফিল ও তাবারুক বিতরণের আয়োজন করা হয়। পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উপলক্ষে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। এ মহিমান্বিত রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে সাক্ষাৎ দেন এবং তাঁর উম্মতের জন্য উপহার স্বরূপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দান করেন। রাতভর সিলেট মহানগর ও সিলেট অঞ্চলের প্রতিটি মসজিদে তাসবীহ-তাহলীল, নফল নামাজ, খতমে কোরআনসহ বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মুসল্লিরা শবে মেরাজ পালন করেন। এতে সকলের সুখ শান্তির পাশাপাশি দেশের অব্যাহত ুখ ও শান্তি কামনা করা হয়।
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মোহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মিরাজ’ বা মেরাজ। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরো নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোন নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করেননি। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে এই মেরাজের মাধ্যমেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট হয়।