বাসস
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৫

চট্টগ্রাম নগরীতে কাল ৫ লাখের বেশি শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাবে

চট্টগ্রাম, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আগামীকাল সোমবার ৫ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কার্যক্রমের  উদ্বোধন  করবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় টিকা কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে আজ রোববার সিটি কর্পোরেশন মেমন জেনারেল হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে এক হাজার ৩২১ টি  টিকাদান কেন্দ্র থেকে ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার শিশুকে নীল রঙের এবং ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছরের ১৫-১৯ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে চসিক এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৪৮৫ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার  ৪৬৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়, যার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল শতকরা ৯৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৯৬ শতাংশ। 
ক্যাম্পেইন চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে (ইপিআই কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র) স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই হাত ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কেন্দ্রসমূহে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সর্তকতা মেনে চলা হবে। 
কার্যক্রম সফল করতে জন্মের পরপর শিশুকে শালদুধ (১ ঘণ্টার মধ্যে) খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে  যেসব শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ যাবে তাদের পরবর্তীতে শুধুমাত্র চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রসমূহে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া পথশিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করতে ‘মোবাইল কেন্দ্র’ কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, জনসংযোগ কর্মকর্তা কাম প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্ত্তী, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. সুমন তালুকদার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বুশরা তাবাসসুম, ভ্যাকসিনেশন ইনচার্জ  মো. আবু ছালেহ।