বাসস
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০১

বাংলা ভাষাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান আমাদের দেশের সমৃদ্ধ ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই মহান ভাষা আন্দোলনকে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের চিরস্মরণীয় ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তাই আমদের সকলকেই অমর একুশের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।     
রাষ্ট্রদূত ‘মহান শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
আজ এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ফোরাম ইনক (ডিইউএএফআই) এর তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ও এর আশপাশের সামাজিক-সংস্কৃতিক সংগঠনের একটি প্লাটফর্ম ডিসি একুশে জোট। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সকল ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালিকে অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্য সহ্য না করার এবং নির্যাতনকারী কোনো শক্তির কাছে মাথা নত না করার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, ‘অমর একুশের চেতনা আমাদের আত্ম-প্রত্যয়ী হতে এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়।’ রাষ্ট্রদূত অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার হুমকি থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের সংকটাপন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার গুরুতের¡ বিষয়টিও তুলে ধরেন।
আর্লিংটন কাউন্টি বোর্ড চেয়ার ক্রিস্টিয়ান ডোরসে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বোর্ডের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ডোরসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৫২ সালে বাংলাদেশী মানুষ তাদের মাতৃভাষা রক্ষায় লড়াই করেন এবং এরপর বাকি বিশ্বকে তারা এই বাংলাভাষা উপহার দেন।
এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এতে সম্মিলিত কণ্ঠে গান ও দলগত নিত্য পরিবেশিত হয় এবং কবিতা আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশী ও বিদেশী শিল্পীরা এতে অংশ নেন।
পরে, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠনের নেতারাও শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।