শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, শহীদ দিবস ও শহীদ মিনার বাঙালি জাতির আবেগ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক।
আজ সোমবার সকালে ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
মেয়র বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ দর্শনের বিকাশ ও ব্যাপ্তি ঘটে, যা পর্যায়ক্রমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদয় ঘটায়। এ কারণে শহীদ দিবস ও শহীদ মিনার আমাদের আবেগের জায়গা। এখান থেকে আমরা বার বার প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাই। তাই এটা প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পবিত্র তীর্থকেন্দ্র। আমাদের সংস্কৃতি চর্চার বিকাশের সাথেও এর নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে নবতরঙ্গের সূচনা করেছেন তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভাষার মাসে তা রুখে দাঁড়াতে বাঙালিকে আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি অর্জন করতে হবে। মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে গিয়েছে তাদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবেগের বিষয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে সঠিকভাবে হৃদয়ে ধারণ করে তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি চান্দগাঁও থানা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে শহীদ মিনার স্থাপনের পরিকল্পনাকারী কাউন্সিলর এসরারুল হক ও অর্থ সহায়তাকারী সুকুমার চৌধুরীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হকের সভাপতিত্বে ও মাহফুজুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সুকুমার চৌধুরী।
আরও বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ নূরু, সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আবুল বাশার সিকদার, আলহাজ মো. জামাল উদ্দিন, সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান, মো. কুতুবউদ্দিন চৌধুরী, কাজী নুরুল আমিন প্রমুখ।
মেয়র আরও বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে খালি জায়গা পাওয়া গেলে প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশু পার্ক, খেলার মাঠ তৈরি করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক বিধায় চট্টগ্রামে ফুটওভার ব্রিজ ও রাস্তাঘাট সংস্কারে দুই হাজার পাঁচশত কোটি টাকা ও বারইপাড়া খালের জন্য তেরশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি শহীদ মিনারের পাশে উম্মুক্ত মঞ্চ ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।